ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২০ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ৫ আশ্বিন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে বসে দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে শেখ হাসিনা: সেলিমা রহমান ভারতে থাকার বৈধ মেয়াদ শেষ, কী ঘটবে শেখ হাসিনার ভাগ্যে ভারতে ‘এক দেশ এক ভোট’ কি সত্যিই হবে পুলিশের কাজ পুলিশকে দিয়েই করাতে হবে, আইন হাতে তুলে নেওয়া যাবে না জাতিসংঘ অধিবেশন নিউইয়র্কে যাদের সঙ্গে বৈঠক হতে পারে ড. ইউনূসের বৈশ্বিক-আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য পাকিস্তান-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জরুরি: বাইডেন ইলিশের দাম কমছে না কেন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন বায়তুল মোকাররমে মুসল্লিদের মধ্যে হাতাহাতি, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন

মাত্র ১৫দিনেই ওজন কমানোর জন্য সেরা জুস থেরাপি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৪২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭
  • ৪৩৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওজন কমাতে হবে বলে সব খাবার বন্ধ করে, শুধু ফলের রস খাওয়ার কোনও মানে নেই। কারণ আমাদের শরীরে সব রকম খাবারেরই প্রয়োজন আছে। তাই সকাল, দুপুর, রাতে পরিমিত খাবারের সঙ্গে ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। এখন প্রশ্ন হল কী কী ফলের রস এক্ষেত্রে খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে? আসুন জেনে নেওয়া যাক…

১. গাজরের জুস
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ক্যালরি রয়েছে একেবারে কম মাত্রায়। ফলে এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দুপুর অবধি পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আর এই কারণে আপনাকে খিদে পেলে কোনও ভাজাভুজির শরণাপন্নও হতে হবে না। ফলে কম খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গাঁজর, কাঁচা অবস্থায় অথবা রস করে খাওয়া যেতে পারে। তবে গাজরের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আপেল, কমলা লেবু এবং আদার কুচি দিয়ে রস বানিয়ে খেলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার মেলে।

২. করলার জুস
করলার জুস? ইশ, কেউ খায় নাকি? হ্যাঁ খায়। যারা রোগা হতে চায়, তাদের কাছে এই জুস অমৃতের সমান। কেন জানেন? কারণ করলার রস লিভার থেকে বাইল রস নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না একেবারেই।

৩. শশার জুস
যে সমস্ত ফলে প্রচুর জলীয় উপাদান আছে, সেগুলিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। যেমন শসায়। তবে এই ফলটিতে আরও বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান রয়েছে, যেমন- ফাইবার এবং পানি। এই দুটি উপাদান অনেকক্ষণ পেট যেমন ভরিয়ে রাখে, তেমনি চর্বি গলাতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, শসার সঙ্গে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে আরও দ্রুত ফল মেলে।

৪. আমলকীর জুস
দিনের শুরুটা এক গ্লাস আমলকীর রস দিয়ে কিন্তু করতে পারেন। এমনটা করলে হজমশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনি মেদও ঝরবে চোখে পড়ার মতো। আর যদি খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! ইচ্ছা হলে এই জুসে কয়েক ফোঁটা মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৫. বেদানার জুস
বেদানার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের মতে, বেদানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকায় মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

৬. বাঁধাকপির জুস
বাধাকপির রস পেটের নানারকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যেমন, অল্প খাবারেই পেট ভার হয়ে যাওয়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি। আর একবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক মতো হতে শুরু করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, বাঁধাকপিতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘন ঘন খিদেও পায় না এবং বার বার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাধাকপির রসের সঙ্গে আপেল, লেবুর রস, গাঁজর বা বিট রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৭. তরমুজের জুস
প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। কিন্তু পানি থাকে প্রচুর মাত্রায়। ফলে তরমুজের জুস খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টো পানির অভাব দূর হওয়ার কারণে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা মেদ ঝরাতে সহায়তা করে।

৮. কমলালেবুর জুস
তাজা খোসা ছাড়ানো কমলালেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কম সময়ে ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। তাই এবার থেকে গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিঙ্ক নয়, বরং কমলা লেবু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৯. আনারসের জুস
আনারসের রস পেটের মেদ কমাতে খুবই উপকারি। ব্রোমেলেইন নামক একটি উৎসেচক আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত রয়েছে, এটি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

১০. লাউয়ের জুস
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওজন কমানোর উপয়ের মধ্যে লাউয়ের উপকারিতা প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে। আসলে লাউতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। ফলে এর জুস খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। উল্টো এই পানীয়টি মেদ ঝরানোর পাশাপাশি গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

টাকার পাহাড় গড়েছেন সরকারের মন্ত্রী-এমপিরা

মাত্র ১৫দিনেই ওজন কমানোর জন্য সেরা জুস থেরাপি

আপডেট টাইম : ১২:৪২:২১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০১৭

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ওজন কমাতে হবে বলে সব খাবার বন্ধ করে, শুধু ফলের রস খাওয়ার কোনও মানে নেই। কারণ আমাদের শরীরে সব রকম খাবারেরই প্রয়োজন আছে। তাই সকাল, দুপুর, রাতে পরিমিত খাবারের সঙ্গে ফলের রস খাওয়ার চেষ্টা করুন। দেখবেন উপকার মিলবে। এখন প্রশ্ন হল কী কী ফলের রস এক্ষেত্রে খাওয়ার প্রয়োজন পড়বে? আসুন জেনে নেওয়া যাক…

১. গাজরের জুস
গাজরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। আর ক্যালরি রয়েছে একেবারে কম মাত্রায়। ফলে এক গ্লাস গাজরের রস আপনাকে দুপুর অবধি পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। আর এই কারণে আপনাকে খিদে পেলে কোনও ভাজাভুজির শরণাপন্নও হতে হবে না। ফলে কম খাওয়ার কারণে স্বাভাবিকভাবেই ওজন কমতে শুরু করে। প্রসঙ্গত, গাঁজর, কাঁচা অবস্থায় অথবা রস করে খাওয়া যেতে পারে। তবে গাজরের সঙ্গে অল্প পরিমাণে আপেল, কমলা লেবু এবং আদার কুচি দিয়ে রস বানিয়ে খেলে এক্ষেত্রে দারুন উপকার মেলে।

২. করলার জুস
করলার জুস? ইশ, কেউ খায় নাকি? হ্যাঁ খায়। যারা রোগা হতে চায়, তাদের কাছে এই জুস অমৃতের সমান। কেন জানেন? কারণ করলার রস লিভার থেকে বাইল রস নিঃসৃত হতে সাহায্য করে। ফলে অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি আমাদের শরীর থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে ওজন কমতে সময় লাগে না একেবারেই।

৩. শশার জুস
যে সমস্ত ফলে প্রচুর জলীয় উপাদান আছে, সেগুলিতে ক্যালরির পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। যেমন শসায়। তবে এই ফলটিতে আরও বেশ কিছু কার্যকরী উপাদান রয়েছে, যেমন- ফাইবার এবং পানি। এই দুটি উপাদান অনেকক্ষণ পেট যেমন ভরিয়ে রাখে, তেমনি চর্বি গলাতেও সাহায্য করে। প্রসঙ্গত, শসার সঙ্গে পুদিনা পাতা এবং লেবুর রস মিশিয়ে খেতে পারলে আরও দ্রুত ফল মেলে।

৪. আমলকীর জুস
দিনের শুরুটা এক গ্লাস আমলকীর রস দিয়ে কিন্তু করতে পারেন। এমনটা করলে হজমশক্তি যেমন বাড়বে, তেমনি মেদও ঝরবে চোখে পড়ার মতো। আর যদি খালি পেটে আমলকির রস খেতে পারেন, তাহলে তো কথাই নেই! ইচ্ছা হলে এই জুসে কয়েক ফোঁটা মধুও মিশিয়ে নিতে পারেন।

৫. বেদানার জুস
বেদানার রস ত্বকের জন্য খুবই উপকারি। এটি ত্বকের জেল্লা বাড়াতে সাহায্য করে। চিকিৎসকদের মতে, বেদানার মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, পলিফেনল, লিনোলেনিক অ্যাসিড থাকায় মেদ ঝরাতেও এর জুড়ি মেলা ভার।

৬. বাঁধাকপির জুস
বাধাকপির রস পেটের নানারকম সমস্যা কমাতে সাহায্য করে। যেমন, অল্প খাবারেই পেট ভার হয়ে যাওয়া, হজমের সমস্যা ইত্যাদি। আর একবার হজম প্রক্রিয়া ঠিক মতো হতে শুরু করলে শরীরের অতিরিক্ত মেদ উৎপাদনকারী উপাদানগুলি দেহ থেকে বেরিয়ে যায়। ফলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা কমে। প্রসঙ্গত, বাঁধাকপিতে উপস্থিত ফাইবার অনেকক্ষণ পেট ভরিয়ে রাখতে সাহায্য করে। তাই ঘন ঘন খিদেও পায় না এবং বার বার খাওয়ার প্রয়োজন পড়ে না। বাধাকপির রসের সঙ্গে আপেল, লেবুর রস, গাঁজর বা বিট রস মিশিয়ে খেতে পারেন। এতে বেশি উপকার পাওয়া যায়।

৭. তরমুজের জুস
প্রতি ১০০ গ্রাম তরমুজে ৩০ গ্রাম ক্যালরি থাকে। কিন্তু পানি থাকে প্রচুর মাত্রায়। ফলে তরমুজের জুস খেলে ওজন তো বাড়েই না। উল্টো পানির অভাব দূর হওয়ার কারণে শরীর সতেজ হয়ে ওঠে। এছাড়াও তরমুজের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইনো অ্যাসিড রয়েছে, যা মেদ ঝরাতে সহায়তা করে।

৮. কমলালেবুর জুস
তাজা খোসা ছাড়ানো কমলালেবুর মধ্যে এমন কিছু উপাদান রয়েছে, যা কম সময়ে ওজন কমাতে দারুনভাবে সাহায্য করে। তাই এবার থেকে গলা ভেজাতে কোল্ড ড্রিঙ্ক নয়, বরং কমলা লেবু খাওয়া শুরু করুন। দেখবেন উপকার মিলবে।

৯. আনারসের জুস
আনারসের রস পেটের মেদ কমাতে খুবই উপকারি। ব্রোমেলেইন নামক একটি উৎসেচক আনারসের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে উপস্থিত রয়েছে, এটি মেদ ঝরাতে সাহায্য করে।

১০. লাউয়ের জুস
আয়ুর্বেদিক চিকিৎসায় ওজন কমানোর উপয়ের মধ্যে লাউয়ের উপকারিতা প্রসঙ্গে উল্লেখ রয়েছে। আসলে লাউতে খুব কম পরিমাণে ক্যালরি থাকে। ফলে এর জুস খেলে ওজন বাড়ার আশঙ্কা থাকে না। উল্টো এই পানীয়টি মেদ ঝরানোর পাশাপাশি গরমের সময় শরীরকে ঠাণ্ডা রাখতে সাহায্য করে।

সূত্র: বোল্ডস্কাই